Posts

Showing posts from 2020

সেলফ পোর্ট্রেট

Image
গত বছর উত্তরার সাত নম্বর সেক্টরের খুব পরিচিত একজন দ্বীনি ভাই দুনিয়া থেকে চলে গেলেন। উনার জানাজায় অংশ নিতে গেলাম। জানাজার পূর্বে উনার ব্যাপারে কিছু বলার জন্য ডাকা হলো তার মসজিদের দীর্ঘ দিনের একজন সঙ্গীকে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মরহুম ভদ্রলোকের ব্যাপারে সে কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরলো -  ১. তিনি সব সময় গরিব মানুষদের খোঁজ খবর নিতেন, তাদের সাহায্য করতেন। বিশেষ করে পথের খেটে খাওয়া মানুষদের ভালো কথা বলা, দ্বীনের কথা শোনানোর ব্যাপারে খুব চেষ্টা করতেন।  ২. কখনও অভিযোগ করতেন না। সব সময় হাসিখুশি থাকতেন। তীব্র অসুস্থতার মধ্যেও আল্লাহ'র শুকরিয়া করতেন।  ইন্তেকাল করা এই ভাইয়ের আরও অনেক পরিচয় ছিল। ক্যারিয়ারের  দিক থেকেও তিনি ছিলেন খুবিই সফল একজন মানুষ। কিন্তু তার সাথে দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা করা একজন ভাইয়ের দৃষ্টিতে এগুলোই তার বিশেষ বৈশিষ্ট। তার কথা মনে করলে যে চিত্রটা ফুটে উঠে, তার ভাই সেই চিত্রটাই বর্ণনা করেছে। ___________________________ সপ্তাখানেক আগে মারা গেলেন আমাদের ১৪ নম্বর সেক্টর মসজিদের অতি পরিচিত নজরুল ইসলাম  চাচা। তাবলীগের কাজের কারণে বেশ কাছ থেকে দেখেছি চাচাকে। ...

Letting Go of Control

Image
Whether it's our job, our family, or our relationships, we want things to go exactly as we planned. But we mostly fail to accept the fact that aspects of our life depends so much on others, on so many external factors that are beyond our control. This realization can lead to a more stress free and happy life. It allows us to differentiate between what's in our control, and what isn't. That way, we can focus our energy on the things within our influence, while also admitting that there are so many parameters beyond our control, which can influence the final outcome in any direction. In life, when something doesn't go our way, when tragedy befalls; maybe we lose a job, or say goodbye to a loved one, suffer huge loss in our business; we can easily fall into the trap of 'what if's' and keep rethinking our past in a closed loop. Or we can give up on life and live a sad and depressed life. But we can also choose to accepts that there were many factors in the past ...

আহা ঈদ!

বিশ্বের যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকাগুলোর মানুষদের চিত্র আমাদের সামনে প্রায় প্রায় উঠে আসে মনিটরের পর্দায়। কি করুণ মানবেতর জীবন। প্রতি বছর ঈদের সময় এসব এলাকার ঈদের খবরও মিডিয়ায় আসে। আমরা ২ সেকেন্ডের জন্য আফসোস করি, ' আহারে! এদের এই ঈদও কি ঈদ?' দীর্ঘস্বাসটা বেরিয়ে যেতে না যেতেই ফিরে যাই নিজেদের উদযাপনে। কখনো কল্পনাতেও আসে না, এমন কোনো ঈদ আমাদের জীবনে আসতে পারে। না, যুদ্ধ দেখতে হচ্ছে না। ওরকম বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে না আমাদের। তবে যা দেখতে হচ্ছে, তাও কি কখনও দেখতে হবে বলে ভেবেছি? এই আজকেই, পৃথিবীর সুপার পাওয়ার আমেরিকায় সব মিলিয়ে মৃত্যু ১ লাখ ছাড়িয়ে গেলো! আমাদের দেশে প্রতিদিন গোটা বিশেক মৃত্যুর খবর পাচ্ছি 'অফিসিয়াল' হিসাবে। প্রিয় চাচা চাচী ফুপুরা রমজান মাসে কয়েকবার করে আসতো একগাদা ইফতার বানিয়ে, এবার কোনো আসা যাওয়া নেই। সবগুলো পরিবার যেন নিজেদের বাসায় বসে বসে পঁচে যাচ্ছে। আমেরিকার করোনা পরিস্থিতির একেবারে এপিসেন্টার নিউ ইউর্কে বেশ কয়েকটা প্রিয় মানুষ প্রতিদিন কাটাচ্ছে অবরুদ্ধ আতঙ্কে। আগে শুনতাম অমুক দেশে করোনা। তারপর শুরু হলো নিজের দেশে, অমুক জেলায়, ওই এলাকায়। তখনো ...

একটু সময়

Image
আজকাল আমরা আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা সেকেন্ড কোনো না কোনো ভাবে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখি। যেন ব্যস্ত না থাকাটা একটা অন্যায়, একটা অপরাধ! Productivity আর Hustle culture এর এই যুগে, আমাদের জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড থেকে output বের করার একটা নেশা চেপে গেছে। কাজের ফাঁকেও যে মাথাটা, মনটা কিছুটা রেস্ট নিবে, সে সুযোগও নেই। স্মার্টফোনটা তুলে নিয়ে স্ক্রল করেই যাচ্ছি অনবরত।  দিনের একটু সময়, অল্প কিছু মুহূর্ত কি এমন রাখতে পারিনা, যে সময়ে ব্রেইনটাকে একটু বিশ্রাম দিব। ঘুরে বেড়াতে দিব তাকে নিজের মতো?  এর জন্য একটা ভালো উপায় হলো হাটতে বের হয়ে যাওয়া। হাটতে হাটতে ফোনে কথা না, অফিসের কিছু পেন্ডিং কল করা না। জাস্ট হাটা। অথবা বারান্দায় বা ছাদে কিছু সময় বসে থাকা। আকাশ দেখা, গাছ, পাখি দেখা। মনকে ওর নিজের মতো একটু থাকতে দেয়া, কোনো কাজ না দেয়া।  আগে নিয়মিত হাটা হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইরে হাটাহাটি করি না। তাই কিছু সময় কাটাই প্রতিদিন বিকেলে আমার ছাদে। কিচ্ছুক্ষন বসে চুপচাপ মেডিটেশন, তারপর একটু হাটাহাটি, আলো বাতাস খাওয়া।  আর প্রায়ই  চোখে পড়ে এমন কিছু সৌন্দর্য্য, যা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত...

বুক রিভিউ: মুহাম্মাদ (সঃ) - হৃদয়ের বাদশাহ

Image
আল্লাহ'র রাসূল (সঃ) এর জীবনী পড়া হয়েছে কয়েকটা। শুরুটা ছিল আমার প্রিয় একটা বই, Martin Lings এর Muhammad -  His Life Based on the Earliest Sources  বইটা দিয়ে। প্রথম সীরাত-পাঠ হিসেবে জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য খুবই ভালো একটা অপশন। পরবর্তীতে পড়া হয় বিখ্যাত The Sealed Nectar , বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পঠিত সীরাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। আরও কিছু সীরাতের বই পড়া হয়েছে তবে একটানা পুরোটা না। অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম আরেকটা সীরাত শুরু করা দরকার। আমার ওয়াইফও আমাকে বলেছে বেশ কয়েকবার। বর্তমান মহামারীর শুরুর সময় থেকে পরিচিত আলেমদের থেকে শুনছি, এই সময় সীরাতের চর্চা করা জরুরি। কোনটা পড়া যায়? রাশিদ হাইলামায এর লেখা Sultan of Hearts  এর কথা শুনেছি অনেক। মাকতাবাতুল ফুরকান থেকে মুহাম্মাদ (সঃ) - হৃদয়ের বাদশাহ   নামে বেরিয়েছে বাংলা অনুবাদও। ওই প্রকাশনার আদম আলী ভাই বেশ কয়েক বছর ধরে আমার পরিচিত। প্রফেসর হযরতের মাদ্রাসার দফতরে অনেক দিন খোলামেলা আড্ডা হয়েছে ভাইয়ের সাথে, হয়েছে এক সাথে কিছু দ্বীনি সফরও। উনার লেখার ভক্ত আমি এবং আমার ওয়াইফ দুজনই। খুব সহজ সাবলীল ভাষায় উনার অবজারভেশনগুলো তুলে...

ভুল বুঝার হিসাব নিকাশ

কেউ যখন ভুল বুঝে তখন কেমন লাগে? কাউকে কোনো কিছু বলেছি সম্পূর্ণ ভালো মনে, এবং আন্তরিকভাবে। অথচ পরে তার কাছে থেকে সরাসরি, অথবা অন্য করোও মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, সে ওই কথাটাকে একেবারে অন্যভাবে নিয়েছে। আমার কথাটা ছিল পুরোপুরি পজিটিভ এঙ্গেল  থেকে, অথচ সে নিয়েছে নেগেটিভলি! যেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি তাকে বলেছি, তার সাথে তার দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ১৮০ ডিগ্রি। আমি হয়তো বলেছি অনুরোধ হিসেবে, অন্যজন নিয়েছে আদেশ হিসেবে। আমি মনের কোনো অবস্থা শেয়ার করেছি হয়তো, কেবল হালকা হওয়ার জন্য, যেমন আমরা কাছে মানুষদের কাছে শেয়ার করি। দেখা গেলো সে মনে করে বসে আছে আমি তার কাছে অভিযোগ করছি! ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জীবনে, কিংবা অফিসে, বেশ কয়েকবার এরকম situation এর মুখোমুখি হয়েছি। এরকম ভুল বুঝার শিকার হলে আমার মধ্যে এক এক সময় এক এক রকম রিএকশন হয়। কখনো প্রচন্ড রাগ লাগে!  আমি বললাম কি আর সে বুঝলো কি! কখন হই প্রচন্ড বিস্মিত। আরে আজব! আমি কি উনাকে এটা mean করেছি নাকি? কখনও বা খুব মন খারাপ হয়েছে। মানুষ আমাকে নেগেটিভলি নিচ্ছে কোনো? প্রব্লেমটা কি আমার? নাকি অন্যদের? আবার কখনো কখনো ভু...